শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১
অনলাইন ডেস্ক।।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা আধুনিক জ্ঞানসম্পন্ন একটা সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য। জাতির পিতা দেশ স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা এই দেশটাকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা আমাদের নীতিমালাও নিয়েছি। আমরা চাই, আমাদের যে সশস্ত্র বাহিনীর নির্বাচন পর্ষদ, এই নির্বাচন পর্ষদে ভবিষ্যতে যারা প্রমোশন পাবে তাদের আপনারা নির্বাচিত করবেন।’
সোমবার (০৭ সেপ্টেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী পর্ষদ-২০২০ (১ম পর্ব) এ অংশগ্রহণ (ভার্চুয়াল) করে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব দিকে নজর রেখে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে ঢেলে সাজিয়েছি এবং সেই ধরনের ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। সেই সঙ্গে বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছি, যাতে সবধরনের ট্রেনিং আমাদের সবাই পায়। বর্তমানে যেমন সশস্ত্র বাহিনীর অফিসারদের পদোন্নতির জন্য আধুনিক পদ্ধতি অর্থাৎ ট্রেস ট্যাবুলেটেড রেকর্ড অ্যান্ড কমপারেটিভ ইভালুয়েশনের মাধ্যমে আপনারা কারা প্রমোশন পাওয়ার উপযুক্ত সেই দক্ষতা কার কতটুকু আছে এর তুলনামূলক মূল্যায়ন করে আপনারা সিদ্ধান্ত নেন।’
তিনি বলেন, ‘সেই সঙ্গে এটাও দেখতে হবে- শুধু খাতা-কলমে বেশি নম্বর পাওয়া নয়, যারা ফিল্ডে ভালো কাজ করতে পারে, কমান্ড করতে পারে বা নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা আছে কি না বা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতা আছে কি না- সেগুলো আপনাদের বিচারে আনতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই দেশ স্বাধীন করেছি, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে। শহীদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বে যারা বিশ্বাসী, যারা বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী নিশ্চয়ই তাদের আদর্শ নিয়েই চলতে হবে। দেশপ্রেমিক এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় যারা বিশ্বাসী হবে তারাই যেন দায়িত্ব পায়। যাতে সঠিক পথে বাংলাদেশকে ভবিষ্যতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘যে সব অফিসার সামরিক জীবনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যোগ্য নেতৃত্ব প্রদানে সফল হয়েছেন পদোন্নতির ক্ষেত্রে তাদের আপনারা অবশ্যই বিবেচনা করবেন। সেটা আমি চাই।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘যেকোনো একজন অফিসার বা কর্মকর্তার পদোন্নতির ক্ষেত্রে অবশ্যই তাদের পেশাগত মান, তাদের যোগ্যতাসম্পন্ন এবং তাদের দক্ষতা বিবেচ্য বিষয় হবে, সেটা অগ্রাধিকার আপনারা দেবেন।’